বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের আলো তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়াতে রংপুর থেকে যাত্রা শুরু করা রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম এখন রাজবাড়ীতে। তিনি সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচ তলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করেন।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি সোমবার (৮ জুলাই) পায়ে হেঁটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার আগে ফরিদপুর সার্কিট হাউসে অবস্থান করবেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তিনি ফরিদপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করবেন। একই সঙ্গে কৃঞ্চচুড়ার গাছ লাগাবেন।
রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানেই একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। আমি মুক্তিযুদ্ধের বর্বরতা স্বচক্ষে দেখেছি। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও আজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক চলছে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে একটি গোষ্ঠী। তাই আমি আগামী প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের আলো ছড়াতে পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করব।’
বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পদযাত্রার শুরুর থেকেই আমাকে বার্তাটোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধিরা সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। আমি যে কয়টি জেলায় গিয়েছি তারা আমাকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে এবং আমার সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপিয়েছে। তাই আমি বার্তাটোয়েন্টিফোরের সম্পাদক ও বার্তা পরিবারের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকলাম।’
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়াতে এবং তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত করতে একজন রিকশা চালক এতদূর পায়ে হাঁটার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তার এই উদ্দেশ্য সফল হোক।’
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করার জন্য রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম গত ১৩ জুন রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় রফিকুল এখন রাজবাড়ীতে আছেন। ১৯ জুলাই তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে ৪ আগস্ট গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজণ্য সাক্ষাৎ করবেন। রফিকুল ইসলাম রংপুর সদরের বাবুপাড়া তাজহাটের মো. আলীর ছেলে।