চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় দুই জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে লিপন আলি ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের সোনাই মন্ডলের ছেলে হাবিল হোসেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ৯ নভেম্বর বিকালে বিপাশা খাতুন শ্বশুর বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বড়খাপুর গ্রাম থেকে বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে আসছিল। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গ্রামের মাঠে তাকে একা পেয়ে হাবিল হোসেন, লিপন আলিসহ পাঁচ থেকে সাত জন মিলে বিপাশা খাতুনকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এরপর মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যান। গৃহবধূর পরিবার অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ তিনদিন পর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরে ১২ নভেম্বর হারেজ মন্ডল বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আজগর আলি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ ৫ বছর পর নয়জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক একজন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।