বগুড়ায় শাহ পরান (১৪) নামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে একটি পা ভেঙে দিয়েছেন নার্সারির এক মালিক। তার নাম- সাইফুল আলম।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে শাহ পরানের বাবা মামুন হায়দার বগুড়া সদর থানায় এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি শহরের উত্তর চেলোপাড়ার বাসিন্দা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাহ পরান গত শনিবার (৬ জুলাই) তার মায়ের সাথে মহাস্থান হল বন্দর এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার (৭ জুলাই) সকালে শাহ পরান ওই বাড়ির পাশে মীনা নার্সারিতে বেড়াতে যায়। এসময় নার্সারিতে কেউ ছিলন না। নার্সারি পাহারার কাজে নিয়োজিতদের ঘুমানোর বিছানায় এক সময় শাহ পরান শুয়ে পড়ে। নার্সারির মালিকের স্ত্রী বিলকিস বেগম বিছানায় শুয়ে থাকার কারণে প্রতিবন্ধী শাহ পরানকে থাপ্পড় দেন। এতে শাহ পরান ক্ষুদ্ধ হয়ে বিছানা থেকে বালিশ ড্রেনে ফেলে দেয়। এখবর নার্সারি মালিক আলম জানতে পেরে নার্সারিতে এসে শাহ পরানকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে তাকে ড্রেনে ফেলে রাখে।
প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে শাহ পরানকে ড্রেন থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি করার পর চিকিৎসকরা জানান, তার বাম পায়ের হাটু ভেঙে গেছে।
এরপর থেকেই প্রতিবন্ধী শাহ পরান মানুষ দেখলে আঁতকে উঠছে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে সে।
শাহ পরানের বাবা দোকান কর্মচারী মামুন হায়দার আক্ষেপ করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে কোন মানুষ এভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে পা ভেঙে দিতে পারে!
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের আটক করা হবে।