ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কামরুন নাহার তূর্ণা হত্যা মামলায় স্বামী আরিফুল হক রনিকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিউল আজম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রনি আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের নিহত কামরুন নাহার তূর্ণার সঙ্গে একই এলাকার তার চাচাত ভাই আরিফুল হক রনির বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তূর্ণার কোনো ভাই বোন না থাকায় বাবার সকল সম্পত্তির মালিক হন তিনি। এই সম্পত্তি তার স্বামী রনির নামে লিখে দেওয়ার জন্য পারিবারিক কলহ লেগে ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তূর্ণা। বিকেলে স্বামীর বাড়ির ছাদের একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকি থেকে তুর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের হাত-পা বাঁধা ও মুখে পলিথিন মোড়ানো ছিল। হত্যার সময় তূর্ণা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এ ঘটনার পরদিন ২৫ এপ্রিল নিহতের বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে তার মেয়ের স্বামী আরিফুল হক রনিকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুইজনের নামে মামলা করেন। আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) এস.এম ইউসুফ বলেন, ‘এই রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। আসামি রনি পলাতক থাকায় আমাদের দাবি থাকবে তাকে অবিলম্বে ধরে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।’
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।