মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। যদি কোথাও সদস্য হয়ে থাকে, তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ভারতীয় মিত্র বাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জায়গা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শনে এসে এসব কথা জানান তিনি।
এ সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো অবস্থাতেই থেমে যাবে না। পর্যায়ক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে। যারা খুব বড় যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচারের কথা পত্র-পত্রিকায় ওঠে আসে, মানুষও জানতে পারে। যারা নিম্ন পর্যায়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে- তাদেরও শাস্তি হচ্ছে। সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আসে না বলে মনে হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা সঠিক নয়, বিচার কাজ চলমান আছে।’
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মুক্তিযোদ্ধা নন, এমন ব্যক্তিরা আমাদের তালিকাভুক্ত আছে। যখই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে অভিযোগ পাচ্ছি, তদন্ত করে তখনই তাদের বাতিল করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আগামী বাজেটে ১৫ হাজার টাকা করে করা হবে।’
আশুগঞ্জে যুদ্ধের সময় ৭ শতাধিক ভারতীয় সৈন্য আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে বাংলার মাটিতে শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করতে চাই।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস.এম আরিফ উর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিমুল হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবু সাঈদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি অ্যাড. কামরুজ্জামান আনসারী, আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইকবাল হোসেন ও আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।