বান্দরবানে ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের তৃতীয় দিনের মতো সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বন্ধ রয়েছে রুমা এবং থানচিতে সবগুলো রুটে নৌ-চলাচলও। দুর্গম অঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বান্দরবান সদরে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি। গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা আবার অবনতি হয়।
ফের ভারী বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী উজানীপাড়া, মধ্যমপাড়া, মুসলিমপাড়াসহ আশপাশের শত শত ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। জেলা সদরের মেম্বারপাড়া, ওয়াবদাব্রিজ, কাশেমপাড়া, শেরেবাংলা নগর, ইসলামপুরসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চলের কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার থেকে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় অবিরাম ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের বাজালিয়া, বরদুয়ারা, দস্তিদারহাটের তিনটি স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই সড়কে ৪-৫ ফুট পানি জমে থাকায় তৃতীয় দিনের মতো সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭শ দুর্গত মানুষ অবস্থান করেছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এছাড়া বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, তবে বন্ধ সড়ক যোগাযোগ