গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল করছে ধীর গতিতে। একদিকে ফেরির স্বল্পতা, অপরদিকে ধীর গতি; এতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দীর্ঘ হচ্ছে অপেক্ষামাণ যানবাহনের সারি।
প্রায় দুই ঘণ্টার অপেক্ষার পর বাসগুলো ফেরিতে ওঠার সুযোগ পেলেও দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও শ্রমিকেরা। তবে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়িগুলোও নৌরুট পারাপার হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।
ফেরিঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘট এলাকায় চার শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে আড়াইশ’র মতো ট্রাক ও দুই শতাধিক বাস রয়েছে। তবে অপেক্ষামাণ ছোট গাড়ির কোনো লাইন নেই।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী ট্রান্সপোর্টের মালামাল বোঝাই ট্রাক চালক আলামীন হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এসেছেন তিনি। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাননি। ফেরিতে উঠতে আরও প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের প্রান্তিক সহকারী আমীর হোসেন জানান, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের তুলনায় ফেরির স্বল্পতা রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি ও স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে বেশি। এতে যানবাহন চালকদের ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষামাণ থাকতে হচ্ছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দায়িত্বরত সার্জেন্ট আলী আকবর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সকালের দিকে শুধু পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের চাপ বাড়তে থাকে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুই শতাধিক বাস ও আড়াইশ’র মতো ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে।