পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় বন বিভাগের ইকো পার্কের পূর্ব দিকের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দেড় মাসের মাথায় ভেঙে পড়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৫ একর জমিতে ফলজ ও বনজ বাগান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চলতি বছরে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দিনাজপুরের বিদ্যুৎ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইকোপার্কের কাজ পায়। জানুয়ারিতে কাজ শুরু করলে গত মে মাসের শেষের দিকে প্রাচীরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
এদিকে, ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন বিভাগের ইকো পার্কের প্রাচীর গত ৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে প্রায় ১০মিটার ভেঙে পড়েছে এবং দাঁড়িয়ে থাকা বাকি প্রাচীরটিও হেলে পড়ে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয়রা জানান, বন বিভাগের প্রাচীর নির্মাণে কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ও অপরিকল্পিভাবে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ করায় এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বন বিভাগের দাবি মাটি নরম হওয়ায় ও অতিরিক্ত বৃষ্টির পানির ঢলের কারণে প্রাচীরটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। আর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বন বিভাগকে দায়ী করে জানান, বন বিভাগ প্রাচীরের এক পাশে অপরিকল্পিত ভাবে মাটি ভরাট করে অপর পাশে ফাঁকা রাখার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পঞ্চগড় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রুহুল আমিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শেষে আমি যোগদান করেছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যেটুকু দেখেছি এতে মনে হয় পার্কের যে বৃষ্টির পানি জমা হয় তার পুরো ঢল প্রাচীরের পাশের খাল দিয়ে যায়, আর এ ঢলের কারণে প্রাচীরটি ভেঙে পড়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।'
এ বিষয়ে দিনাজপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, 'বৃষ্টির পানির ঢল ও প্রাচীরের নিচে বেশির ভাগ বালু থাকায় ১০ মিটারের মতো ভেঙে পড়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা এটির পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করবেন।'
এদিকে বিদ্যুৎ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'প্রাচীর নির্মাণে কোনো ত্রুটি ছিল না। যে অংশটি ভেঙেছে সেটি মূলত বন বিভাগের কারণে ঘটেছে। কারণ নির্মাণের পর প্রাচীরে উভয় পাশে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তারা এক পাশে মাটি ভরাট ও এক পাশে ফাঁকা রাখে ফলে পানির ও মাটির চাপে প্রাচীরটি ভেঙে পড়েছে।'