কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, রাজারহাট ও নাগেশ্বরী উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক সবজিসহ আমন ধানের বীজতলা।
ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কিছু পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গরু ছাগল নিয়ে উঁচু সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেছে।
প্লাবিত এলাকাগুলো ঘুরে জানা যায়, বন্যার্তদের জন্য এখন পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি।
তবে জেলা প্রশাসন অফিস সূত্র জানায়, বন্যার্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে বিতরণ শুরু হবে।
পাঁচগাছী সিতাইঝাড় এলাকার মোক্তার হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যরাসহ গবাদি পশু- গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি নিয়ে খুবই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি।
পাঁচগাছী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো প্রকার ত্রাণ সামগ্রী পাইনি। কিন্তু বন্যার্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আমরা ত্রাণ সামগ্রী পেলেই তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের বিতরণ করা করব।