নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও হত্যা মামলার আসামি আমানুর রহমান খান রানা।
তিনি বলেছেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। কারামুক্তির পর আমি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসেছি। আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার কারণে আমি দীর্ঘদিন জেলখানায় ছিলাম। আমি আইনের মাধ্যমে বের হয়ে এসেছি। ন্যায় ও সত্যের একদিন বিজয় হবেই।’
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আমানুর রহমান খান রানা বলেন, ‘আমার বাবা একজন ভালো মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মনে করি, নেত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমার বাবা আমার চেয়ে ভালো দায়িত্ব পালন করছেন।’
এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আ.ন.ম. বজরুল করিম রিপন, ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক তালুকদার মো. শাহাজাহান, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহম্মেদ রাজিবসহ তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আমানুর রহমান খান রানার বাবা আতাউর রহমান খান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুবলীগের দুই নেতা হত্যার মামলার আসামি হয়ে রানা কারাভোগ করে গত ৯ জুলাই জামিনে মুক্তি পান। এর আগে ২২ মাস পলাতক থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন সাবেক এমপি রানা