পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি আর স্রোতের তীব্র বেগের কারণে ফেরি পারাপারে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঘাট এলাকায়। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজটের।
নদী পারের জন্য টানা দুইদিন ধরে ঘাটে বসে আছে প্রায় দেড় সহস্রাধিক যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। আর যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা হবে দুই শতাধিকের মতো।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে সরেজমিন ঘাটে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজারের কাছাকাছি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত নদী পারের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সারা রাত অপেক্ষা করছে দেড় সহস্রাধিক যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক, শ্রমিক আর যাত্রীরা।
যশোর থেকে আসা ট্রাক চালক নাজমুল জানান, শনিবার বিকালে তিনি এখানে এসেছেন। এখনো সড়কেই অবস্থান করছেন। কখন ফেরির দেখা পাবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি।
সাকুরা পরিবহনের যাত্রী রাসেল আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে তার পরিবারসহ তিনি এখানে পৌঁছান। সারা রাত সড়কেই কেটেছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে তিনি রাতে খুবই কষ্টে ছিলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতার কারণে ফেরিগুলোর চলতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ফলে ফেরিগুলোর আপ-ডাউন ট্রিপ কমে যাচ্ছে। যার কারণে ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা চেষ্টা করছি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসগুলোকে আগে নদী পার করতে।’