পীরগাছায় চাহিদার তুলনায় ত্রাণ কম, তীব্র খাদ্য সংকট

রংপুর, দেশের খবর

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পীরগাছা (রংপুর) | 2023-08-29 23:02:14

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উঁচু স্থানে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে বানভাসি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়নি। তীব্র খাদ্য সংকটে এসব দুর্গত মানুষের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। সেই সঙ্গে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বন্যার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

রোববার (১৪ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণের জন্য এখন চলছে হাহাকার। তারা ত্রাণের অপেক্ষায় আছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ যাত্রীবাহী নৌকা দেখলেই ত্রাণ পাওয়ার আশায় ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। এখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ত্রাণ চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অধিকাংশ বানভাসিদের। এতে বন্যাদুর্গত এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।



উপজেলার বন্যা দুর্গত গাবুড়া, শিবদেব, জুয়ান ও রামসিং গ্রামে শনিবার (১৩ জুলাই) ত্রাণ হিসেবে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শাহ মো. মাহবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ।

এ পর্যন্ত উপজেলার বন্যা দুর্গত প্রায় এক হাজার ৫শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে মাত্র ৪৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ফলে অনেককেই ত্রাণ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

পীরগাছা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, অধিকাংশ বাড়িতে পানি ওঠায় রান্না করার পরিস্থিতি নেই। তাদের জন্য শুকনা খাবারের প্রয়োজন। ত্রাণ হিসেবে শনিবার ৪৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বন্যার্তদের মাঝে কিছু জিআরের চাল বিতরণ করা হয়।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, ‘শনিবার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করেছি। সরকারিভাবে ত্রাণ বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর