রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুট। এ নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। আর বাকি গাড়ি যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক।
তবে নৌরুটটি দিয়ে যারা নিয়মিত নদী পারাপার হচ্ছেন, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। নদী পারের জন্য ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে চান তারা। এর জন্য তারা চেয়ে আছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দিকে।
রোববার (১৪ জুলাই) শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার (১৩ জুলাই) থেকে নদী পারের জন্য টার্মিনালে অপেক্ষা করছে প্রায় ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক। তবে ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ি ও বাসের তেমন চাপ নেই।
যশোরের উদ্দেশে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক আব্দুর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তিনি শনিবার থেকে এখানে অপেক্ষা করছেন নদী পারের জন্য। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা পর্যন্তও তিনি ফেরির দেখা পাননি।
বনফুল বাসের চালক কবির হোসেন জানান, তিনি এই নৌরুটে দীর্ঘদিন ধরে বাস চালাচ্ছেন। প্রতিনিয়তই ঘাটে এসে তিনি বিড়ম্বনার শিকার হন। বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পেতে তাই পদ্মা সেতুর জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, যানবাহন পারাপারের জন্য এই নৌরুটে ১৫টি ফেরির মধ্যে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। তীব্র স্রোতের কারণে বাকি চারটি ফেরি চলাচল করতে না পারায় সেগুলো বসে আছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, এই রুটে ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় সাড়ে ৩০০ স্পিডবোট চলাচল করছে।