বন্যায় গাইবান্ধার ১৫২ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা | 2023-08-24 22:28:29

ব্রক্ষপুত্র নদ এবং ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি রয়েছে। বন্যায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৫ ইউনিয়নের ১৫২ গ্রামের প্রায় সোয়া লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিতদের জন্য ৯৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এতে প্রায় ১১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় পৌনে ৩০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার, শহরের ব্রিজরোড পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি ৬৬ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ৪৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, এক কিলোমিটার বাঁধ ও ছয়টি কালভার্ড ভেঙে গেছে। ফসলহানি হয়েছে ৩৯৩ হেক্টর জমি।

এদিকে, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ উপজেলার পুরাণলক্ষীপুর (দ্বীপ) এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমর পানিতে পরিণত হয়েছে। অনেকে স্থানীয় সাদুল্লাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক (রুটিন দায়িত্ব) রোখসানা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘গত রোববার দুপুর পর্যন্ত গাইবান্ধার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে, যা বিতরণ চলমান থাকবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর