কুশিয়ারা নদীর পানি আর মাত্র এক ফুট বাড়লে ডুবে যাবে দুই কূল। গত তিনদিন ধরে কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৫০ গ্রাম।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদীর দুই কুল ডুবে গেলে হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে অন্তত দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হবে। ক্ষতি হতে পারে কয়েকশ' কোটি টাকা। কুশিয়ারা পাড়ের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় সেখানের বাসিন্দাদের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বন্যা দেখা দিলে গৃহহীন হয়ে পড়বেন কয়েক লাখ মানুষ।
সূত্রে জানা যায়, প্রতি তিন ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে কুশিয়ারার পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় পানি বৃদ্ধি পেলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে ফসলি জমির।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীর বাঁধের নিচু অংশগুলোতে বালুর বস্তা ফেলে উঁচু করার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বিভিন্ন দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধেও ফেলা হচ্ছ বালুর বস্তা। অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও গ্রামবাসী দিনরাত পরিশ্রম করে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে।
তবে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান। তিনি বলেন, 'কুশিয়ারা নদীর কুল ডুবতে এখনও অনেক বাকি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এছাড়া বন্যার্তদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে আশ্রয় কেন্দ্র ও সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন পানিবন্দি লোকজন।'
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, 'কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে, পানি আরও বাড়বে। বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই। সেখানে আমাদের লোকজন কাজ করছে।'