যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইদুল আলম লাভলু ফেনীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। ২০০০ সালে তিনি তৎকালীন ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে তিনি ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু হান্নানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাকে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফেনীতে একজনকে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০২ সালের ৩০ জুন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মাইদুল আলম লাভলুর যাবজ্জীবন সাজা হয়। তখন তিনি পলাতক ছিলেন।
এছাড়া তিনি সোমবার আরও একটি দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় ফেনীর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯৯৬ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মাসুদকে অপহরণ করে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তার বাবা আবদুল খালেক ভূঁঞা ফেনী থানায় মামলা করেন।
২০০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ওই মামলায় রায় প্রদান করা হয়। এতে আসামি মাইদুল আলম লাভলুকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
সোমবার তিনি ফেনীর যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়।
পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন এবং পাঁচ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ ও কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু।
উল্লেখ্য, মাইদুল আলম লাভলু ২০০০ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে কানাডায় পাড়ি দেন। ১৯ বছর প্রবাসে কাটিয়ে কয়েক দিন আগে দেশে ফিরেছেন।