উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলার ৪৭ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এসব এলাকার পুকুরের মাছ, গরুর খাবার ও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা কবলিত এলাকার ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় প্লাবিত হয়েছেন ৮০ হাজার পরিবারের ৫ লাখ মানুষ। বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকনো খাবারের প্রয়োজনের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে চর্মরোগ ও শিশুদের সর্দি জ্বর।
বন্যা আক্রান্ত মানুষেরা বলছেন তাদের কাছে এখনো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা বলছেন বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যার চেয়ে ত্রাণের পরিমাণ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ৬শ’ ৫০ মে. টন চাল, নগদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতি উপজেলায় ২টি করে মেডিকেল টিম দেওয়া আছে।