চার দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ভোগান্তি আর নদীপাড়ের মানুষের আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে হবিগঞ্জে রোদের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে হবিগঞ্জের আকাশে রোদ দেখা দেয়। এতে স্বস্তি ফিরেছে হবিগঞ্জের জনসাধারণের মনে।
এদিকে, বর্তমানে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া খোয়াই নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই হবিগঞ্জের আকাশ অনেকটা মেঘমুক্ত ছিল। বেলা ১১টার দিকে মাথার উপরে সূর্য দৃশ্যমান হয়। ফলে চার দিনের বৃষ্টিতে স্থবির জনজীবনে ফের কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসে। যদিও শহরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানি লেগে থাকায় অনেকটা ভোগান্তিতে রয়েছেন শহরবাসী।
অপরদিকে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে পানি না বাড়লেও ভোগান্তি কমেনি নদীর পাড়ের মানুষের। প্লাবিত হওয়া প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা, ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ফসলাদি ও মূল্যবান জিনিসপত্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বছরজুড়ে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হবিগঞ্জে তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হবে। বন্যার পানি নেমে গেলে পুনরায় তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকার থেকে যতেষ্ট পরিমাণে সহযোগিতার পরিকল্পনা রয়েছে।’