সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বর-কনেসহ ১১ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টার থেকে বাদ জোহর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, রামগাঁতি, কালিয়া হরিপুর, সয়াধানগড়া, দিয়ার ধানগড়া ঈদগাহ ও এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের ঘাটিনা ঈদগাহ মাঠ ও রায়গঞ্জের উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামে পৃথক পৃথকভাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ অংশ নেয়। শেষবারের মতো মৃতদেহগুলো দেখতে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ ছুটে এসে ভিড় জমায়। পৃথক পৃথকভাবে সাতটি জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। চোখের পানি ঠেকাতে পারেননি অনেকেই। সান্ত্বনা দেয়ারও ভাষা ছিল না কারও কাছে।
জানাজা নামাজ শেষে উত্তর কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বর রাজন শেখ (২২), বরের মামাতো ভাই শিশু আলিফ বায়েজিদ (৮), চুনিয়াহাটি (কাজীপাড়া)র মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভাষা সেখ (৫৫)কে কালিয়া হরিপুর করবস্থান, বরযাত্রী শহরের রামগাতি মহল্লার আব্দুল মতির ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), তার ছেলে শাকিল (২০), সয়াধানগড়া মহল্লার সুরুত আলীর ছেলে হেলপার আব্দুল আহাদ সুজন (২১), দিয়ারধানগড়া মহল্লার আলতাফ হোসেনের ছেলে শরীফুল ইসলাম (২৬)কে পৌর এলাকার মালশাপাড়া কবরস্থান, চালক স্বাধীন (৪৫)কে পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ কবরস্থান, রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামের আলম শেখের ছেলে খোকন (৩৫)কে কৃষ্ণদিয়ার পারিবারিক কবরস্থান এবং উল্লাপাড়া পৌর এলাকার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত গফুর সেখের মেয়ে নব বিবাহিত সুমাইয়া খাতুন (১৮) ও তার ভাবি আশরাফ আলীর স্ত্রী মমতা বেগম (৩৫)কে এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের ঘাটিনা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিয়ের মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, বর-কনেসহ নিহত ১০
উল্লেখ্য, বিয়ের মাইক্রোবাসটি উল্লাপাড়া থেকে বেতকান্দি যাবার পথে সলপ এলাকায় রেলক্রসিং পার হবার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬ জনের দাফন সম্পন্ন