নড়াইলের তিন উপজেলায় নৌকা প্রতীকের বিরোধীতা করে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে তিনজন আনারস প্রতীকে এবং একজন মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর সিদ্ধান্তে আর ছাড় পাচ্ছেন না এসব প্রার্থীরা। শোকজসহ তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে নৌকাকে পরাজিত করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এসব নেতা। তাই তাদের শোকজসহ দল থেকে বহিষ্কার করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ১২ জুলাই গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সে হিসেবে নড়াইলের তিনটি উপজেলায় চার জন বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে একজন নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। নড়াইল সদর উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে।
এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন নড়াইল পৌর যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বিলো (আনারস প্রতীকে)। যদিও নিজাম উদ্দিন খান নিলু ৪১ হাজার ৯৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর বিপ্লব বিশ্বাস পান ৩৮ হাজার ১৪৮ ভোট।
লোহাগড়া উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় রাশেদুল বাশার ডলারকে। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু (আনারস) এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (মোটরসাইকেল) যদিও শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু (আনারস) ৩৬ হাজার ৩১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদুল বাশার ডলার পান ২১ হাজার ২২৫ ভোট।
কালিয়া উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন আর রশিদ (আনারস)। নির্বাচনে কৃষ্ণপদ ঘোষ ৪২ হাজার ৮৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী হারুন আর রশিদ পান ২০ হাজার ৬১৪ ভোট।
যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এবং সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবগত হয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপ হয়েছে কিন্তু চিঠি এখনো হাতে পাইনি। চিঠি পেলেই নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’