পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান এলাকায় কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রবলবেগে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুইঁ ছুঁই করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙন অংশ দিয়ে বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবেশ করায় চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটার দিকে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের কজওয়েতে গিয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট যানবাহন নৌকাযোগে পারাপার হচ্ছে। আবার রাস্তার মধ্যে পানির ব্যাপক স্রোত থাকায় কেউ কেউ মাছ ধরছে। অনেকে আবার পানিতে গোসল করছে এমন দৃশ্য। অসংখ্য মানুষ আসছেন কজওয়ের পানি দেখতে। তুলছেন সেলফি।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, এখানে যদি একটি ব্রিজ হয় তাহলে হয়তো এতো ভোগান্তি থাকবে না। তারা সরকারের কাছে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
সদর উপজেলার নন্দির জোত এলাকার আব্দুল হক, আবুল হোসেন, হাসমত আলীসহ অনেকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার পর থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে এ সড়ক দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তারা আরো বলেন, সরকার যদি এই ডাইভারশনে ব্রীজ নির্মাণ করে তাহলে হয়তো এতো ভোগান্তি থাকবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
জেলা ত্রাণ অফিসের তথ্যমতে, অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫ উপজেলার ৩৫ট ইউনিয়নের ১৭২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পানি বন্দি রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।