সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। দু’দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের।
সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা মহাখালী বাস মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্ধের জেরে সিরাজগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও সড়কের পাশে সারি করে রাখা হয়েছে বাস। বাস মালিকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলায় ট্রাক-সিএনজিও বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোথাও দু-একটি প্রাইভেট গাড়ি চলাচল করলেও বাধা দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা।
জেলা শহর থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার কোনো যানবাহন না থাকায় শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষসহ কর্মজীবীদের বাস-সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। আনেকে হেঁটে হেঁটেই যাচ্ছেন তার কর্মস্থলে। এছাড়া কাঁচামাল পরিবহন করতে না পারায় ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, চলা ধর্মঘটে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
জেলা মোটর বাস মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি জিন্নাহ আল মাজি জানান, ঢাকার মহাখালী ও গাবতলীর বাস মালিক সমিতির নেতারা সিরাজগঞ্জে বাস কাউন্টার দাবি করে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়। আলোচনায় সমাধান না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের বাসগুলো ঢাকায় প্রবেশে বাঁধা দেয় ঢাকার মালিক সমিতির নেতারা। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে সিরাজগঞ্জে বাস, ট্রাক, মিনিবাস কোচ, কাভার্ডভ্যানসহ রিকশা-ভ্যান অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।