কুড়িগ্রাম থেকেঃ ব্রহ্মপুত্রের পানিতে প্লাবিত হয়েছে চিলমারী উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন। উলিপুর-চিলমারী সড়কপথের বেশকিছু জায়গায় রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ইতোমধ্যে চিলমারী থানায় কোমড় সমান পানি জমেছে।
চিলমারী খাদ্য গুদামে হাঁটু পানি, উপজেলা পরিষদ সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান পানির নিচে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাব-স্টেশনে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে উপজেলার পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বন্যার পানিতে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথের উলিপুর অংশের কয়েক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। আরও কয়েক জায়গায় পানি রেলপথ ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থায় ঐ রেলপথে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়াও বন্যাদুর্গত লোকজন রেললাইনের ওপর আশ্রয় নেওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ।
চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরবিক্রম শওকত আলী সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, '৩০ বছর পর এমন বন্যা দেখলাম। এর আগে ১৯৮৮ তে বন্যা দেখেছি। খুবই ভয়াবহ অবস্থা। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তবে পানিবন্দি মানুষের তুলনায় পর্যাপ্ত ত্রাণ ও শুকনো খাবার এখন পৌঁছানো ও বিতরণ করা হয়নি।'
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৪৫০টি তাবু ও ১৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। জেলার ১৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যাপ্লাবিত এলাকায় ৮৫টি মেডিকেল টিম স্বাস্থসেবা প্রদান করছে।