পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঠিকাদার এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের নামে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কোনো নিয়মনীতি না মেনে যেনতেনভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক চলতি অর্থবছরে সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রাজমিস্ত্রী কাজ শেষ করে চলে গেছেন। এখন টাইলস লাগানোর কাজ চলছে। কিন্তু এটি লাগাতে গিয়ে দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। লাগানো টাইলসও খুলে খুলে পড়ছে!
এমনকি, আট মিলি রড দিয়ে আড়াই ইঞ্চি পুরত্বের কংক্রিট দিয়ে ছাদ ঢালাই করার কথা থাকলেও কোনো রড ছাড়াই ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। ফলে এই বৃষ্টিতে সিমেন্ট-বালু উঠে খোয়া বের হয়ে গেছে।
সংস্কার কাজের এসব অনিয়মের বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জমিদানকারীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তবুও কোনোর প্রতিকার মেলেনি। উল্টো তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকে কী কী সংস্কার কাজ করা হবে, সে বিষয়ে দায়িত্বরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারকে (সিএইচসিপি) কোনো কাগজ দেওয়া হয়নি। তবে অনিয়মের বিষয়ে তিনি প্রতিবাদ করলেও তাকে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিএইচসিপি মনিরা আখতার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে কোনো কাজ না করেও বিভিন্ন সময় অর্থ তুলে নেন ঠিকাদাররা। নামমাত্র এসব উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে একটি সিন্ডিকেট কাজ করে। এতে এসব কাজের কোনো তদারকি কিংবা মনিটরিং থাকে না।
এসব বিষয়ে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিঠু চন্দ্র দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, কাজের মান খারাপ হয়েছে। তবে আবারও ছাদ ঢালাই এবং পলেস্তারার কাজ করানো হবে।
এদিকে জেলায় প্রতি বছর কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারের নামে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকে এবং কোন কোন খাতে তা ব্যয়, এ বিষয়ে তথ্য চাইলে অপারগাত প্রকাশ করেন দফতরের সহকারী প্রকৌশলী শাওন সাহরিয়ার। এজন্য তিনি সময় নিয়ে তথ্য অধিকার আইনের ফর্মে আবেদন করার পরামর্শ দেন।