'কুমিল্লা জিলা স্কুল একটি গৌরবের নাম। যেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে এ স্কুলের ছাত্ররা। ভবিষ্যতেও কুমিল্লার সুনাম রক্ষা ও ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা জিলা স্কুল।'- ১৮২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
শনিবার (২০ জুলাই) সকালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে ১৮২ বছর পূর্তি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। উৎসবে অংশ নেয় স্কুলটির বিগত ৬-৭ দশকের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক। সকলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি কুমিল্লা নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে কুমিল্লা জিলা স্কুলের ১৮২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে। বিদ্যালয় এলাকা লাইটিং, নান্দনিক তোরণ নির্মাণ আর সুসজ্জিতকরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা জিলা স্কুল এলামনাই এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জিলা স্কুল এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক ও জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার।
১৮৩৭ সালের ২০ জুলাই কুমিল্লা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসের প্রধান করণিক মি. হেনরি জর্জ লাইচেস্টার বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এটি কুমিল্লা গভর্নমেন্ট স্কুল নামে পরিচিত ছিল। ১৮৩৯ সালের মে মাসে তিনি এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।
তার মৃত্যুর (১৮৭০) পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে ৫ জন ইউরোপিয়ান, ১ জন হিন্দু ও ৩ জন মুসলমান বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির একটি কমিটির এর পরিচালনার ভার ন্যস্ত ছিল।