প্রবল স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিগুলোকে নদী পারাপারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। সাধারণত নদী পার হতে সময় লাগে ৩০-৩৫ মিনিট, এখন সেখানে সময় লাগছে ১ ঘণ্টা। কখনও কখনও ১ ঘণ্টাতেও নদী পারাপার করতে পারছে না ফেরিগুলো।
ফেরির ইঞ্জিনগুলো পুরাতন হওয়ায় নদীতে স্রোতের বেগ বাড়লেই তা আর চলতে পারে না। ফলে অনেক সময় ফেরিগুলোকে ঘাটে অলস সময় বসে থাকতে হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। নদী পারাপারের জন্য ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মার পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে গত সপ্তাহ থেকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে ফেরি পারাপার। স্রোতের তীব্রতায় ফেরিগুলো পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় নিচ্ছে। এতে করে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে শত শত যানবাহনকে।
রোববার (২১ জুলাই) সকালে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নদী পারের জন্য টার্মিনাল ও সড়কে অবস্থান করছে প্রায় ৪ শতাধিক যানবাহন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফেরি চালক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এই নৌরুটের বেশির ভাগ ফেরি এত পুরাতন যে, নদীতে একটু স্রোত হলেই তা আর চলতে পারে না। ইঞ্জিনগুলো খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে নদী পার হতে সময় লাগার কথা ৩০-৩৫ মিনিট। কিন্তু এখন লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা করে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআাইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে নদী পার হতে যেখানে ৩০-৩৫ মিনিট সময় লাগত সেখানে এখন লাগছে প্রায় ১ ঘণ্টা। বেশি সময় লাগার কারণে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে যানবাহনগুলো। আটকেপড়া যানবাহনগুলো দ্রুত নদী পার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।