যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৬২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, তলিয়ে গেছে জেলার ১৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২৮ সেন্টিমিটার কমে রোববার (২১ জুলাই) সকালে যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় জেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব এলাকার অসংখ্য বসতবাড়ি, রাইস মিল, মাছ চাষের পুকুর, হাঁস-মুরগি-গরুর খামার এবং বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
জামালপুর-শেরপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, দুরমুট, মেলান্দহ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত এবং তারাকান্দি রেলস্টেশনের বিভিন্ন স্থানে পানি ওঠায় ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় ২ লাখ ৫ হাজার পরিবারের ১৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বন্যার পানি কিছুটা কমলেও শুকনো খাবারের তীব্র অভাবের পাশাপাশি শিশু খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে পুরো জেলায়।
বন্যা দুর্গত এলাকায় ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৮ হাজার বানভাসি মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯শ’ ৫০ মে. টন চাল, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৭ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা অসহায় বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।