দেড় বছর ধরে নষ্ট ডিজিটাল এক্সরে মেশিন

চুয়াডাঙ্গা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা | 2023-08-27 09:17:46

গত দেড় বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে রোগীদের ভোগান্তি বাড়লেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ আছে, এক্সরে মেশিনটি চালুর পরদিন থেকেই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু মেশিনটি উদ্বোধনের পর পুরো বিকল হয়ে যায়। ফলে ওই এক্সরে মেশিনের সুফল পায়নি রোগীরা। এরপর প্রায় দেড় বছর পার হলেও মেশিনটি ঠিক করার উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কেন মেশিনটি মেরামত করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবও দিচ্ছে না তারা।

রোববার (২১ জুলাই) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সার্জারি ওয়ার্ড থেকে অনেক রোগী হাসপাতালের ১০৩ নং কক্ষের সামনে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় বাধ্য হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সক্রিয় থাকে দালাল চক্র।

দামুড়হুদা উপজেলার রহিমা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তার বোনের পা ভেঙে যাওয়ায় ডাক্তার ডিজিটাল এক্সরে করাতে বলেছে। কিন্তু হাসপাতালে এক্সরে মেশিন না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে এক্সরে করাতে হয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি সিরিয়াল পেতে এক দালালকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে। হাসপাতালের মেশিন ঠিক থাকলে ২০০ টাকার মধ্যেই সবকিছু হয়ে যেত।

ওই হাসপাতালে শুধু ডিজিটাল এক্সরে মেশিনই নয়, অ্যানালগ মেশিনটিও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। রোজার ঈদের পর এক্সরে মেশিনটি ঠিক করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজি ও রেডিওগ্রাফি বিভাগে কর্মরত সেলিম হোসেন জানান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন নষ্ট হওয়ার পরদিনই কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়। আবার অ্যানালগ মেশিনটির অবস্থাও ভালো না। নতুন ডিজিটাল এক্সরে মেশিন কবে আসবে সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শামীম কবির বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি যারা ডেলিভারি করেছিল, সেই বেঙ্গল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে অ্যানালগ মেশিনে ভালো ছবি ওঠায় ডিজিটাল মেশিনের অভাববোধ করছি না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর