কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গরুর খামারিরা। এ জেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার গবাদি পশু। সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় কোরবানির পশুর সংকট হবে না।
জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫ উপজেলায় ছোট বড় ও পরিবারিকভাবে ১২ হাজার ৬২৪টি খামারে ৮৭ হাজার ৯৫৪ টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে, ষাঁড় ২১ হাজার ৩৮৭টি, বলদ ১৪ হাজার ৮১৪টি, গাভী ১১ হাজার ২৫১টি, মহিষ ৩ হাজার ৫৮টি, ছাগল ২৭ হাজার ৬৭৫টি, ভেড়া ৯ হাজার ৭৫৮টি এবং অন্যান্য রয়েছে ১১টি।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু পালন করেন খামারিরা। ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না তারা। প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার দিয়ে থাকেন খামারিরা। এবার গো-খাদ্যের দামও তেমন বাড়েনি।
এ খাতের প্রতি সরকার নজর দিলে ভারত থেকে গরু আনার আর প্রয়োজন পড়বে না বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের মীম বরেন্দ্র এগ্রো প্রাইভেট লি. এর মালিক আলী নূর সেলিম জানান, বছরে একটি গরু পালন করতে খরচ হয় ৮৪ হাজার টাকা। তার খামারে বতর্মানে ৮৬টি গরু রয়েছে। নিয়মিত খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য-সম্মতভাবে গরু পালন করা হয়। কোনো প্রকার ক্ষতিকর জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় না। ইতোমধ্যে গরুর ব্যাপারীরা খামারে এসে গরু দেখে গেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় গরুগুলো পাঠানো হবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী বলেন, ‘খামারিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে গবাদি পশু পালনের জন্য। প্রতিনিয়ত খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া জেলায় কোরবানির পশুর সংকট হবে না।’