২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের সর্বববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি পণ্যের উপর ছয় হাজার ২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এত বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব জানালেও ব্যবসায়ীরা বলছেন অনশ্চিয়তার কথা।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এখানে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে চার হাজার ৪০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল এক হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, এ পথে বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে ভারত-বাংলাদেশ সরকার উভয় আন্তরিক। ইতোমধ্যে তার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান চার দেশের বাণিজ্য চুক্তিও বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় সুফল পাচ্ছেন না। অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নাও হতে পারে।’
বেনাপোল সিআ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখানে সবসময় পণ্য থাকে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি। জায়গার অভাবে খোলা আকাশের নিচে রোদ, বৃষ্টি, কাদায় পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়। অবকাঠামোর উন্নয়ন হলে বর্তমানে যে রাজস্ব আদায় হয়, তখন তার দ্বিগুণ হবে।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘বন্দরে পরীক্ষাগার না থাকায় পণ্যের নমুনা পরীক্ষণের জন্য ঢাকাতে পাঠাতে হয়। রিপোর্ট হাতে পেতে ১৫ থেকে ২০ দিন, কখনো মাসের অধিক সময় লেগে যায়। এতে আমদানি পণ্য বন্দরে আটকে থেকে যেমন লোকসান গুনতে হয়, তেমনি পণ্যের মান নষ্ট হয়।’
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বলেন, ‘পূর্বের চেয়ে বন্দরে নিরাপত্তা বেড়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের বেশ কিছু কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বন্দরের জায়গা বাড়াতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।’