ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোসাম্মাৎ রাবেয়া আক্তার। তিনি আসামি উম্মে সুলতানা ওরফে পপির আপন চাচি।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
আদালতে মোসাম্মাৎ রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘১৯ এপ্রিল পুলিশ পপিদের বাড়িতে যায়, আমি পুলিশকে দরজা খুলে দেই। এ সময় পুলিশের সঙ্গে পপিও ছিল। পপিদের ঘরের রুম দুইটি। পপি যে রুমে থাকত তাকে নিয়ে ওই রুমে যায় পুলিশ। ওই রুমে একটি নেভি ব্লু রঙয়ের বোরকা, পেস্ট কালারের ওড়না দেখিয়ে পুলিশ আমার কাছে জানতে চায় এগুলো কার? আমি বলি পপির বোরকা। পপি এই বোরকা পরে মাদরাসায় যেত। পরে আমি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি।’
নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার ১৯তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ ফেনীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ফজলুল করিম, মোসাম্মাৎ রাবেয়া আক্তার, ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জাফর ইকবালের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।