সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। অভ্যন্তরীণ রুটের নৌযানগুলো শহরের বিকল্প লঞ্চঘাটে ও ডাকাতিয়া নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে চাঁদপুরসহ আশপাশের জেলার হাজার হাজার যাত্রী।
বুধবার (২৪ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে চাঁদপুর-ঢাকা রুটে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব থেকে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কথা না জানার কারণে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলা, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকে আসা অনেক যাত্রী লঞ্চঘাটে এসে অপেক্ষা করে ফিরে গেছে। যার ফলে চরম ভোগান্তি, সময় ব্যয়, অর্থ সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।
এর আগে ১৫ এপ্রিল নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত নৌশ্রমিকদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে নৌযান কর্মচারীরা।
গত ১৬ এপ্রিল শ্রমিক, মালিক ও সরকার পক্ষের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৫ দিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ১৫ জুলাই ত্রিপাক্ষিক সভার আয়োজন করা হয়। তবে ওই সভায় মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত হয়নি।
পরে গত ২০ জুলাই (শনিবার) নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা সিদ্ধান্ত নেয় দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে সব প্রকার নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে। ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছে নৌযান শ্রমিকরা। তবে চাঁদপুরে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে বুধবার সকাল থেকে।
চাঁদপুর জেলা নৌযান শ্রমিক লীগ সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শিডিউল অনুযায়ী সব লঞ্চই ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুরঘাট ত্যাগ করেছে। তবে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনসহ ত্রিপাক্ষিক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।