মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন মংলা সমুদ্র বন্দরের নৌ শ্রমিকরাও।
ফলে মংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। যাত্রী, পণ্য ও তেলবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরের সাথে সারাদেশের নৌপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। দুর্ভোগে পড়েছেন লঞ্চের যাত্রী সাধারণও। এছাড়া তেলবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সড়ক পরিবহনেও।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে বন্দরে অবস্থানরত ১২টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজসহ দেশীয় সকল জাহাজের পণ্য উঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দর জেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।’
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: বাচ্চু বলেন, ‘মালিক পক্ষ বিগত তিন মাস আগে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিনে তা বাস্তবায়ন না করায় বাধ্য হয়েই আবারো কর্মবিরতি পালন করতে হচ্ছে। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’