ঝিনাইদহে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

ঝিনাইদহ, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঝিনাইদহ | 2023-08-31 08:57:31

ঝিনাইদহে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ৬ উপজেলার খামারিরা। দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, সবুজ ঘাষ, দানাদার খাবার খাইয়ে গরু মোটা তাজা করা হচ্ছে এখানে। তাইতো ভাল লাভের আশা খামারিদের।

জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় কোরবানির জন্য ২৩৭ টি খামারে দেশীয়, পাবনাই ষাড়, নেপালি ষাড়, সিন্ধিসহ বিভিন্ন জাতের ৫৫ হাজার ৮ ৯৬ টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন চলছে শেষ মুহূর্তের গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। সামনে ঈদুল আজহা, তাই তো বাজার ধরতে দম ফেলার ফুরসত নেই খামারিদের। নিজের ক্ষেতে উৎপাদিত সবুজ ঘাস, বিচালীসহ চিটাগুড় ও নানা ধরনের দানাদার খাবার এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। মোটাতাজাকরণে ব্যবহার হচ্ছে না কোন ক্ষতিকারক ওষুধ বা ইনজেকশন।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন বলেন, এ বছর তিনি কোরবানির জন্য ৩৭ টি গরু পালন করছেন। গো-খাদ্যের দাম এ বছর একটু বেশি। তবে বর্তমানে গরুর যে বাজারমূল্য আছে তা যদি স্থিতি থাকে তবে এ বছর কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন।

একই এলাকার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা কোন প্রকার কেমিকেল ও ওষুধ দিচ্ছি না। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে গরু পালন করছি।

শৈলকুপা উপজেলা গরু খামারি আইয়ুব হোসেন রনি বলেন, এ বছর ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় দেশীয় গরুর পালন বেশি করা হয়েছে। দেশীয় গরু বাজারে নিলে তার চাহিদা ভালো থাকে। খাবার কম লাগে তাই লাভও বেশি হয়।

তবে ভারত থেকে গরু না আসলে এবার লাভের মুখ দেখবেন বলে জানালেন গরু খামারিরা। তাদের দাবি, দেশের যে পরিমাণ গরু উৎপাদিত হয়েছে তাতে ভারতীয় গরুর কোনও প্রয়োজন পড়বে না। ঈদের আগে যেন ভারত থেকে গরু না আসে। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: হাফিজুর রহমান বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের ফলে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ঝিনাইদহের গরুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা পূরণ করে অর্ধেকেরও বেশী গরু বাইরের জেলায় বিক্রির আশা করা যাচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর