শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কয়েক দিনের জমে থাকা ময়লা-আর্বজনার স্তূপ রাস্তায় ভেসে বেড়াচ্ছে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায়। ফলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র দুগর্ন্ধের।
পৌর এলাকার বাসিন্দারা রোগ আর মশার ভয়ে বাড়ি থেকেই বের হতে ভয় পাচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র ওবায়দুর রাহমান চৌধুরী জিপু নিজ উদ্যোগে ময়লা পরিষ্কারের অভিযানে নেমেছেন শহরের বেশকিছু স্থানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের শহীদ হাসান চত্বর, ফেরিঘাট রোড, সবজি বাজার এলাকা, মাংসের বাজার, ঈদগাহ পাড়া, শ্মশান এলাকা, বাজার পাড়াসহ শহরের মূল মূল রাস্তার মোড়ে ও রাস্তার মাঝে দেখা গেছে কয়েকদিনের জমে থাকা ময়লার স্তূপ।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মতো জেলার অন্য পৌরসভাগুলোতেও চলছে রাষ্টীয় কোষাগার থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পাবার দাবি। আর সেই দাবিতেই সারা দেশের মতো গত ১৪ জুলাই থেকে চুয়াডাঙ্গার চারটি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল প্রকার সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। শুক্রবার ১৩তম দিনেও নাগরিক সেবা বন্ধের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তারা।
পৌর এলাকায় ভোগান্তির আরেক কারণ রাস্তায় সড়ক বাতি না জ্বালানো, টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ, কর সংগ্রহ বন্ধ, নাগরিক সনদ প্রদান বন্ধ, ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ পৌরসভার দৈনন্দিন কার্যক্রম বন্ধ রাখা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে পৌরসভার সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে আন্দোলনে যতদিন পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ততদিন তিনি নিজ উদ্যোগে শহরের আর্বজনা পরিষ্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।