‘গত ২০০ বছর ধরে ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে জলজ ও প্রাণিজ প্রাকৃতিক ভারসাম্য। কার্বন নিঃসরণ আর গ্রিন হাউজের প্রভাবে বিপর্যয়ের মুখে চলে যাচ্ছে সুন্দর এ ধরণী। এমনই চিত্র ধাপে ধাপে সাজিয়ে মানুষের সামনে উঠে এসেছে আগামীর ভবিষ্যৎ।’
নারায়ণগঞ্জের চাষারায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রুবেল আবুল হাসান। ‘আরও সুন্দর পৃথিবী, আবার জাগাবো’ স্লোগান সামনে রেখে এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রতিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখা। ২ দিন ব্যাপী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সূচনা হয় শুক্রবার (২৬ জুলাই)।
রুবেল আবুল হাসান বলেন, ‘মাত্র ১২ বছরের ভেতর বড় ধরণের বিপদ ডেকে আনছি। ১৯৫০ সালের চাইতে দুনিয়াজুড়ে প্রায় ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ এর আগে ছয় হাজার বছরে এর চার ভাগের এক ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদি আর কয়েক বছরের ভেতর ২ ডিগ্রি অতিক্রম করে যায় তবে দুনিয়াজুড়ে অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সুন্দরবন ধ্বংস করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। পরিবেশের বিপর্যয় সম্পর্কে বার বার অবগত করা হলেও ভারতীয় স্বার্থে সরকার এসব কথায় কর্ণপাত করছে না। একই সাথ মহেশখালী, সোনাদিয়ায় যেভাবে পাহাড় বন উজার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে উপকূলীয় অঞ্চলের জীবজন্তু হুমকির মুখে পড়বে। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেই আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ যে দিল্লীতে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মানুষ হাঁসফাঁস করছে।’
সভায় জেলা প্রতিবেশ আন্দোলনের সংগঠক নিপুন সাহার সভাপতিত্বে ও জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি গবেষক মাহবুব সুমন, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি তরিকুল সুজন, বিষের বাশি পত্রিকার সম্পাদক সুভাষ সাহা সহ প্রমুখ।