ষোল নদ-নদীর জেলা কুড়িগ্রাম। দেশের ভারতীয় সীমান্তের কোল ঘেঁষে থাকা এ জেলায় নেই বিনোদনের তেমন কোনো জায়গা। তাই নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা এখানকার মানুষদের চোখে নদীর শান্ত স্রোতই যেন বিনোদন।
চলতি বন্যায় নদীর দুকূল উপচে পানি ছুটেছে দিক-বিদিক। সেই পানিতে যেমন মিশে আছে দুঃখ। তেমনি পানির তোড়জোড় কমে আসায় কারো কারো চোখে নদীতে মিলছে বিনোদনের সুখ। এ কারণে নদী বেষ্টিত এ জেলার বিনোদন পিপাসুরা এখন নদী আর সেতুতে খুঁজছে প্রকৃতির রূপবৈচিত্র।
ধরলা নদীর ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর দুপ্রান্তে বাড়ছে বিনোদন প্রত্যাশী মানুষদের ভিড়। আছে দর্শনার্থীদেরও আনাগোনা। ছুটির দিন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে ধরলা সেতুর পূর্বপ্রান্তে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কুড়িগ্রাম শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ধরলা সেতু ও নদী রক্ষা বাঁধ রয়েছে।
শত শত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় জমছে সেতুকে ঘিরে নদীর পাড়ে। অনেকেই এসেছেন পরিবার পরিজন কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে। অনেকেই ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে এসেছেন ধরলা নদী উপভোগ করতে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ধরলা পাড়ে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
সেখানে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে কথা হয় ফয়সাল হোসেন ও নুর জামাল নামের দুই দর্শনার্থীর। তারা নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ থেকে এসেছেন। এ দুই যুবক বলেন, 'আমরা সময় পেলেই ধরলায় বেড়াতে আসি। এখানকার সেতু ও নদী রক্ষা বাঁধটিতে সময় অতিবাহিত করতে খুবই ভালো লাগে। ধরলা নদী ও তার আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর।'
কুড়িগ্রাম শহর থেকে ঘুরতে আসা-হাবিবুর রহমান (৩৩) ও লিলি বেগম (২৮) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'কর্ম ব্যস্ততার কারণে আমরা কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি। তাই প্রতি শুক্রবার একটু বিনোদন পাবার আশায় ধরলা পাড়ে বেড়াতে আসি।'
কুড়িগ্রাম খলিলগঞ্জ এলাকা থেকে বেড়াতে আসা-জুবায়ের (৯) ও মিতু (১২) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'পড়ালেখার চাপের কারণে বাবা কোথাও বেড়াতে নিয়ে যেতে চায় না। বাবার সঙ্গে ধরলা পাড়ে বেড়াতে এসে খুবই ভালো লাগছে।'