যমুনার পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলেও জামালপুরে সার্বিক বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে যমুনার পানি কমে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তথ্যমতে, সড়কে ৪২০ কোটি টাকা, ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার গবাদি পশু এবং ২৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একইসঙ্গে বন্যার কবলে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১২৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লাখ মানুষ। এছাড়া খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে রয়েছে বন্যা কবলিত মানুষেরা।
বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,মুরগীর খামার, গরুর খাবার, ফসলের মাঠ, চাতাল মিল, ইটভাটা, ব্রিজ ও কালভাট। জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা। ঈদকে সামনে রেখে কৃষকের গরু বন্যায় মরে গেছে নতুবা গো খাদ্যের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা বলছে, বিক্রি করতে গেলে প্রাপ্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা।
জেলা প্রাণী সম্পদ নুরুল ইসলাম কর্মকর্তা বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় প্রায় ৪ হাজার ২৬ একর গো চারণ ভূমি পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় ১ হাজার ৮২৮ মেট্রিকটন চাল, ২৬ লাখ ৩০ হাজার নগদ অর্থ, ২ লাখ টাকার শিশু খাবার এবং ২ লাখ টাকার গো খাদ্যে ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে।