সিরাজগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বন্যা কবলিতদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে যমুনা নদী। পানি কমার সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।
শনিবার (২৭ জুলাই) চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া ও এনায়েতপুরে নদী ভাঙনে বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই)ও নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বেশ কিছু বাড়িঘর।
অন্যদিকে, কয়েক হাজার ঘরবাড়ি পানির নিচে থাকায় নষ্ট হতে শুরু করেছে ঘরে থাকা আসবাবপত্র। দুই সপ্তাহের অধিক সময় পানিবন্দি থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো অসহায়ভাবে দিন পার করছে।
ইতোমধ্যে শুকনো খাবারসহ শিশু খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বানভাসির অর্ধেক মানুষের কাছে পৌঁছেনি সরকারি সহায়তা। রাতের বৃষ্টি দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ওয়াপদা বাঁধে ঝুপড়ির নিচে বৃষ্টির মধ্যে ছেলে-মেয়ে নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে বন্যা কবলিতদের। বৃষ্টির মধ্যে রান্না করতে সমস্যা হওয়ায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
এদিকে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে গরুগুলো শুকিয়ে গেছে ফলে কোরবানির আগে দাম নিয়ে কৃষকরা শঙ্কায় পড়েছে।
জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহম্মেদ বলেন, 'যমুনার পানি কমলেও বিপদসীমার ওপরেই রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে জিআর চাল, নগদ টাকা ও প্যাকেটে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বানভাসিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ও তাঁবু সরবরাহ করা হয়েছে। ত্রাণেরও কোনো সংকট নেই।'