কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বানভাসি মানুষেরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
রোববার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত মানুষেরা তাদের ঘরে ফিরছে। তবে এখনও অনেক বাড়ি-ঘর বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেনি।
এদিকে ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে পানি এখনও বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বানভাসিরা জানান, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে চরগুলোর অনেক বাড়ি ঘর থেকে এখনও পানি নামেনি।
এছাড়াও অনেক বাড়িঘরে পানি থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যেসব বাড়িঘর থেকে পানি নেমেছে, সেসব বাড়িতে বানভাসি মানুষজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
একইসঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষজন দীর্ঘদিন পানিবন্দি জীবন যাপন করায় এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। চরণভূমি তলিয়ে গোখাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষরা তাদের গবাদি পশুর খাদ্য যোগান দিতে পারছেন না।
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া, চর্মসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন।
সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে তা বিপুল সংখ্যক বন্যা কবলিত মানুষের জন্য অপ্রতুল।