পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘যখন আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও চীনের পাহাড়ি পানির ঢল নামতে থাকে, তখন আমাদের দেশের বিভিন্ন নদ নদীর পাড়ে যারা বসত করেন তাদের ঘর-বাড়ি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়। আর এজন্য প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙন নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন।’
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করতে এসে এক সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ হলো যে সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙন আছে, সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ভাঙন রোধ করতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আপনাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। আজকে বলে গেলেই কালকে থেকে কাজ শুরু হবে না। কাজ শুরু না হওয়ার কারণ হলো একেক নদীর একেক গতিবিধি আছে। সব নদী এক ধরনের না। এ জন্য আমাদেরকে সময় দিতে হবে।’
সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভাগ্যবান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রী পেয়েছেন। তিনি যদি সুস্থ থাকেন, দেশ পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে উন্নয়নের শিখরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তা কল্পনা করতে পারবেন না। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে।’
পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিমসহ বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।