নরসিংদীর পলাশে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করল কাকলী আক্তার (১৪) নামে ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী।
কাকলী আক্তার উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওড়া গ্রামের কাজল মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে কাকলী আক্তার নিজের বাল্যবিয়ের বিষয়টি তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলীকে জানায়। পরে ওই শিক্ষক সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিনকে জানান। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় কাকলী আক্তার।
পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল বাছেদ জানান, কাকলী আক্তারকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীর পরিবার অঙ্গীকার করে- মেয়ের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে লেখাপড়া শেখাবে।
শিক্ষার্থী কাকলী আক্তারকে রোববার পাশের গ্রামে বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।