লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিখোঁজের সাতদিন পর নির্জন বাগানে মাটিচাপা অবস্থায় মো. সুমন (২৬) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সহকর্মী মো. সোহেলকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুমন কুমিল্লা জেলার মুরাদপুরের সুজানগর গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে। আটক সোহেল রামগঞ্জের নাগমুদ গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তারা রামগঞ্জের সোনাপুর বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রামগঞ্জের সোনাপুর বাজারের মো. ইউসুফের মুদি দোকানে সুমন ও সোহেল কয়েক বছর ধরে চাকরি করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুমনের কাছ থেকে সোহেল টাকা ধার নেয়। তবে কতো টাকা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। হঠাৎ ২১ জুলাই রাত থেকে সুমন নিখোঁজ হয়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে সুমনের বাবা ইউনুছ আলী রামগঞ্জ থানায় ২৭ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওইদিন বিকেলে সোহেলের বাবা বাবুল মিয়াকে আটক করে। খবর পেয়ে সোহেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। রোববার তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির নির্জন বাগান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় সুমনের বস্তাবন্দী অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম ফজলুল হক বলেন, ‘আটক সোহেল হত্যার কথা স্বীকার করে আমাদের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।’