ইউপি সদস্যের স্ত্রীর নামে ভিজিডি ও মাতৃত্ব ভাতার কার্ড!

নেত্রকোনা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নেত্রকোনা | 2023-08-11 00:38:55

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার নিলুফাকে একজন ভিজিডি (২০১৯-২০২০ অর্থবছর) কার্ডধারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করান। একই অর্থবছর নিলুফার নাম মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায়ও আন্তর্ভুক্ত করা হয়। উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের মাতৃত্বকালীন ভাতার রেজিস্ট্রি বইয়ে ৩১৩৯ নম্বরে তার নাম উল্লেখ আছে।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে মাসকা ইউনিয়নের পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘মাসকা ইউনিয়নে চলতি অর্থবছরে ১২৯ জন ভিজিডি ও ২০ জনকে মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। তবে নতুন যোগদান করায় মোর্শেদা আক্তার নিলুফার নামে দুটি কার্ড হওয়ার বিষয় আমার জানা নেই।’

মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার নিলুফার নামে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন কার্ড হওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। নিয়ম মেনে করা হলে তাকে কার্ড দেওয়া হবে। আর না হলে দুটি কার্ডই বাতিল করা হবে।’

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুর রৌফ সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এক ব্যক্তির দুটি কার্ড পাওয়ার বিধান নেই। এছাড়া একজন ইউপি সদস্যের স্ত্রীর কার্ডই পাওয়ার কথা না। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা ভিজিডি কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেছি, এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর