আদালতে কর্মরত সেরেস্তাদারসহ সকল কর্মচারীদের চাকরিতে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে পদোন্নতির দাবিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে যশোরের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের যশোর জেলা শাখা নেতৃবৃন্দ এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তিন দফা দাবিগুলো হলো, আদালতে কর্মরত কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহায়ক কর্মচারী হিসাবে অর্ন্তভূক্ত করে বিচারকগণের ন্যায় সহায়ক কর্মচারীদের ভাতা প্রদান। এছাড়াও সকল ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজন করে মন্ত্রণালয়ের ন্যায় যোগ্যতা ও জ্যৈষ্ঠতার ক্রমানুসারে প্রতি ০৫ বছর অন্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করা। পদোন্নতির সুযোগ রেখে অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন ও স্কেল সমন্বয় করা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নূও হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুক্তার হোসেন, সেরেস্তাদার মো. আব্দুল মজিদ, তুলনা সহকারি এস এম সফিউল ইসলাম, বিপ্লব আহম্মেদ, হাফিজুর রহমান প্রমূখ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীরণ পরে ২০০৯ সালে সরকার বিচারকগণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন গঠনসহ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল বেতন স্কেল নামে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় কর্মচারীদের জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য করা হয়নি এবং পৃথক কোন বেতন স্কেলও প্রদান করা হয়নি। আমাদের এখনো পরিচয়, জনপ্রশাসনের কর্মচারী।
অথচ, বিচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারীরা বিচারকগণের বিচার কাজের অতি জরুরি অংশ। মামলা বৃদ্ধির কারণে বিচারকগণের মতো কর্মচারীরাও কাজের চাপে ভারাক্রান্ত। বলা চলে, সরকারের অন্য যে কোন বিভাগের তুলনায় বিচার বিভাগের কর্মচারীদের অধিক পরিশ্রম করতে হয়। তবুও কোন ধরণের ভাতা কিংবা পদোন্নতির ব্যবস্থা নেই। ইতোপূর্বে, বিচার বিভাগের সেরেস্তাদারগণ খুবই সন্মান-মর্যাদার সাথেই ছিলেন, এমনকি অফিসার্স ক্লাবের সদস্য হওয়ার সুযোগও ছিলো। অথচ, বর্তমানে পুলিশের এসআই, খাদ্য পরিদর্শক, ব্লক সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা নার্স, অডিটর, উ সহকারি প্রকৌশলীদের চেয়ে সেরেস্তাদারদের বেতন স্কেলের দ্বিগুণ বা ততোধিক।