মিয়ানমার থেকে আবারও আসছে কোরবানির পশু

কক্সবাজার, দেশের খবর

নূরুল হক, উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বাতাটোয়ান্টিফোর.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার) | 2023-08-29 05:08:56

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে সাগর পথে আবারও আসছে ট্রলার বোঝায় গবাদি পশু। গত দুইদিনে মিয়ানমার থেকে দুই হাজার ১২৯টি পশু বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এসব পশু ১৬টি ট্রলারে করে সাগর পথে আনা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসে বৈরী আবহাওয়া ও মিয়ানমারের সমস্যার কারণে প্রায় ২০ দিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। তবে গত দুইদিন ধরে মিয়ানমার থেকে আবারও গবাদি পশু আসা শুরু হয়েছে।

শুল্ক স্টেশনের তথ্য মতে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে নয়টি ট্রলারে এক হাজার ২৪৪টি গবাদি পশু এসেছে। এসব পশুর করিডোর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যা থেকে ৬ লাখ ২২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া সোমবার আসে ৮৮৫টি গবাদি পশু। তবে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে পাঁচ হাজার ৯৬৬টি পশু আমদানি করা হয়। যার মধ্যে তিন হাজার ৪৭০টি গরু এবং দুই হাজার ৪৯৬টি মহিষ ছিল।

জানা গেছে, কোরবানির ঈদের আগে মিয়ানমার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গবাদি পশু আমদানি করা হয়। এসব পশুর রাজস্বসহ কার্যক্রম শেষে বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে হাটে তোলেন। তবে গত ২০ দিন পশু আমদানি বন্ধ থাকায় করিডোরে আটকা পড়েছেন পশু ব্যাপারীরা।

পশু আমদানিকারক টেকনাফের বাসিন্দা মো. শহীদ জানান, বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও মিয়ানমার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কোরবানির ঈদে মিয়ানমার থেকে রেকর্ড সংখ্যক পশু আমদানি করা হবে। পশু আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দেশের চাহিদা পূরণ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

পশু ব্যবসায়ীদের দাবি, টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপে যাতায়ত সমস্যা আছে। তাই ঈদকে সামনে রেখে করিডোর সংলগ্ন এলাকায় ব্যাংক এবং শুল্ক স্টেশনের অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হলে সবার সুবিধা হতো।

টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা এই করিডোর থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। পশু আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আদায় আয়ও বাড়বে। পশু আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোরটি শুল্ক স্টেশনের আওতাধীন একটি জোন। ২০০৩ সালে ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গবাদি পশু আসা বন্ধে সাবরাং এর শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির চৌকি সংলগ্ন এলাকায় এ করিডোর চালু করা হয়। আমদানি করা গবাদি পশু প্রথমে বিজিবির তত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়ে গবাদি পশুগুলোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর