ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সাতটি ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এতে বন্দরে অনেকটা অচলাবস্থা নেমে এসেছে। তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসে ভারতীয় ট্রাক চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ এনে পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনো ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর থেকেও পণ্যবাহী ট্রাক যায়নি পেট্রাপোল বন্দরে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বার্তাটোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘চলমান সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এপারের ব্যবসায়ীদের সাথে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বৈঠক চলছে। আশা করা হচ্ছে সেখানে আলোচনার মধ্য দিয়ে দ্রুত সমাধান হবে।’
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ‘চলমান দুই দিনের ধর্মঘটে আটকে পড়া পণ্য চালানে ব্যবসায়ীরা প্রায় পাঁচ কোটি টাকা লোকসানের শিকার হয়েছেন। দ্রুত সমাধান না হলে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
এদিকে বাণিজ্য বন্ধের কারণে সীমান্তের দুই পাড়ের বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে প্রায় সহস্রাধিক ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এসব পণ্যের মধ্যে একটি অংশ রয়েছে মাছ, পিয়াজ, টমেটো, ডাল, কাচা মরিচ, ফুলসহ বিভিন্ন প্রকারের পচনশীল কাঁচামাল। প্রচণ্ড গরমে সেগুলো নষ্টের পথে।