সারাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু পরীক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই মাগুরায়। যদিও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী।
মাগুরার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. স্বপন কুমার কুন্ডু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া পায়নি । স্থানীয়ভাবেও আজ পর্যন্ত কোনো উপকরণ যোগাড় করা সম্ভব হয়নি।’
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে মাগুরা সদর হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে মহিলা ওয়ার্ডে ২৫ জন, পুরুষ ওয়ার্ডে ২৩ জন ও শিশু ওয়ার্ডে ১৩ জন জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। যাদের শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থা না থাকায় ভর্তি হওয়া রোগীরা ধোঁয়াশার মাঝে রয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার তাদের ডেঙ্গু হয়নি বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মাগুরা সদর হাসপাতাল এখন পর্যন্ত আট জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছে। যারা অন্যত্র থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাগুরায় এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জন পুরুষ ও দুই জন মহিলা।
ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. অমর প্রসাদ বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, হাসপাতালের বিশেষ কেয়ারে সকলে সুস্থ আছে। ধীরে ধীরে তারা সুস্থ হয়ে উঠবে।
শুধু মাগুরা সদর হাসপাতালে নয়, আশে পাশের উপজেলায় জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণের উপায় না থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. প্রদীপ কুমার সাহা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘রক্তের সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত করা সম্ভব। আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে সকলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার দিকে নজর দিতে হবে।’