কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া আরও ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই হাসপাতালের কার্ডিওলজি ওয়ার্ডের একটি কক্ষে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কুড়িগ্রাম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তিনটি ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধনের কার্যক্রম শুরু করেছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মামুন ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা পলিটেকনিকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি বাড়িতে আসার পর জ্বরে আক্রান্ত হই। গতকাল বুধবার কুড়িগ্রামের একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। পরে হাসপাতালে ভর্তি হই।’
জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়ার আরিফুল ইসলাম (২৮) বলেন, ‘আমি ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করি। গত ৪ দিন আগে বাড়িতে আসি। এরপর জ্বরে আক্রান্ত হই। পরে গত ৩০ জুলাই ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আমি হাসপাতালে ভর্তি হই।’
কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমাদের পৌরসভায় কোনো ফগার মেশিন ছিল না। তিনটি ফগার মেশিন ঢাকা থেকে আনা হয়েছে। পরে সদর হাসপাতাল চত্বর থেকেই মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এটা পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সকল এলাকায় ছিটানো হবে।’
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী এসেছে। এদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আর ১১ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।