সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। গত দুই দিনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এন্টোমোলজি টেকনিশিয়ানরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পান।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকা থেকে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। আরও অনেক স্থানে থাকতে পারে। শুধু ওষুধ দিলে হবে না সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে লিফলেট ও ব্যানার বিতরণ, প্রচার মিছিল ও বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ৪৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন, বাকিরা সিরাজগঞ্জ সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগের প্যাথলজিকাল পরীক্ষার মূল্য সরকার নির্ধারিত ৫০০ টাকা নিতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এন্টোমোলজি টেকনেশিয়ান মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত দুই দিন আমরা সিরাজগঞ্জের সার্কিট হাউজসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ক্যাম্পাসের ভিতর স্তূপ করে রাখা গাড়ির টায়ারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি। পুলিশ সুপারের বাসভবনের ফুলের টবে লার্ভা পেয়েছি। গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনে এবং জেলা পরিষদের ডাকবাংলোসহ কয়েকটি বাড়িতেও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। যেখানে লার্ভা পেয়েছি সেখানে মশা নিধন ওষুধ দেবার পরামর্শ দিয়েছি।
সিরাজগঞ্জে এডিস মশার বিস্তার রোধে পৌরসভাকে আরও কার্যকর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। মশা নিধনে পৌরসভা যে কাজ করছে সেটা পর্যাপ্ত না বলে অভিযোগ তাদের।